লেখক : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধরন: সামাজিক উপন্যাস
ব্যাক্তিগত রেটিং 4/5 (Favourite)
"মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম। তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ। তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে।”
বর্তমানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনো অনেক জায়গায় বহুলভাবে দেখা যায় যে, বিয়ে বিষয়টিকে স্বামীর ক্ষমতা প্রদর্শনের এক বিশেষ জায়গা হিসেবে। যেখানে স্ত্রী'দের স্বাধীনতা খর্ব করে, হুকুমের দাস হিসেবে, জোর করে সংসার চালিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে) করা হয়।
গ্রামে যেখানে বেড়ে উঠা আমার, সেই সমাজে এখনো ভয়ংকর ভাবে এটির প্রচলন রয়েছে। প্রায় ১৯২৯ সালের দিকে রবী ঠাকুরের এই লেখা, এখনো সমাজের মধ্যে প্রচলন দেখে পড়ার সময় একধরনের হতভম্ব আকারে উত্তেজনা কাজ করতেছিল।
কুমু এবং মধুসূদন দু'জনেই সম্পূর্ণ বিপরীত মানসিকতার মানুষ। সামাজিক প্রতিপত্তি এবং প্রতিশোধের মিশ্রণে বয়সোর্ধ্ব মধুসূদনের সাথে কুমুর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের যাত্রাপথ হতে স্ত্রী কুমুর প্রতি একধরনের খবরদারি/হুকুমজারি শুরু করেন, স্বামী মধুসূদন।
উপন্যাসের মাঝপথে স্ত্রী'র প্রতি ভালোবাসা সুলভ অনুভূতি জাগলেও, প্রতিপত্তি ভাবের কারণে বিপরীত হয়ে যেত। যার কারণে, সংসারে বিচ্ছেদ নামক শব্দেরও উত্থান দেখা দেয়।
অন্যদিকে নবীন এবং মতির মা এ চরিত্র দু'টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উপন্যাসটিতে। মতির মা (এর মতো সমাজের হাজারো নারী) ধরেই নিয়েছে যে, সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীকে সব ধরনের অন্যায় অপমান সহ্য করে, প্রভুর নিকট মাথা নত করে চালিয়ে যেতে হয়।
উপন্যাসটিতে চার রেটিং(এক কম) দেওয়ার কারণ হল, সামাজিক বাস্তবতা মেনে, অহেতুক অজুহাতে, আবার সংসারে ফিরে যাওয়া। ভেবেছিলাম লেখক হয়তো আরও কঠিনতম একটা সিদ্ধান্ত নিবে কুমুকে নিয়ে।
পড়ুন, জানুন, ভিন্নভাবে ভাবতে শিখুন।
ধরন: সামাজিক উপন্যাস
ব্যাক্তিগত রেটিং 4/5 (Favourite)
"মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সবচেয়ে কম। তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ। তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে।”
বর্তমানে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এখনো অনেক জায়গায় বহুলভাবে দেখা যায় যে, বিয়ে বিষয়টিকে স্বামীর ক্ষমতা প্রদর্শনের এক বিশেষ জায়গা হিসেবে। যেখানে স্ত্রী'দের স্বাধীনতা খর্ব করে, হুকুমের দাস হিসেবে, জোর করে সংসার চালিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে) করা হয়।
গ্রামে যেখানে বেড়ে উঠা আমার, সেই সমাজে এখনো ভয়ংকর ভাবে এটির প্রচলন রয়েছে। প্রায় ১৯২৯ সালের দিকে রবী ঠাকুরের এই লেখা, এখনো সমাজের মধ্যে প্রচলন দেখে পড়ার সময় একধরনের হতভম্ব আকারে উত্তেজনা কাজ করতেছিল।
কুমু এবং মধুসূদন দু'জনেই সম্পূর্ণ বিপরীত মানসিকতার মানুষ। সামাজিক প্রতিপত্তি এবং প্রতিশোধের মিশ্রণে বয়সোর্ধ্ব মধুসূদনের সাথে কুমুর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের যাত্রাপথ হতে স্ত্রী কুমুর প্রতি একধরনের খবরদারি/হুকুমজারি শুরু করেন, স্বামী মধুসূদন।
উপন্যাসের মাঝপথে স্ত্রী'র প্রতি ভালোবাসা সুলভ অনুভূতি জাগলেও, প্রতিপত্তি ভাবের কারণে বিপরীত হয়ে যেত। যার কারণে, সংসারে বিচ্ছেদ নামক শব্দেরও উত্থান দেখা দেয়।
অন্যদিকে নবীন এবং মতির মা এ চরিত্র দু'টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উপন্যাসটিতে। মতির মা (এর মতো সমাজের হাজারো নারী) ধরেই নিয়েছে যে, সংসারকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রীকে সব ধরনের অন্যায় অপমান সহ্য করে, প্রভুর নিকট মাথা নত করে চালিয়ে যেতে হয়।
উপন্যাসটিতে চার রেটিং(এক কম) দেওয়ার কারণ হল, সামাজিক বাস্তবতা মেনে, অহেতুক অজুহাতে, আবার সংসারে ফিরে যাওয়া। ভেবেছিলাম লেখক হয়তো আরও কঠিনতম একটা সিদ্ধান্ত নিবে কুমুকে নিয়ে।
পড়ুন, জানুন, ভিন্নভাবে ভাবতে শিখুন।

0 Comments