ধরুন, আপনি একটা পাপ কাজ করেছেন, যেটি আপনার করা উচিৎ হয়নি, অর্থাৎ যেটিকে সমাজ, ধর্ম এবং নীতিগতভাবে খারাপ ভাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
এখন আপনার সেই বিষয়টি কারো সাথে শেয়ার করা উচিৎ নই। যদি না, আপনি বিষয়টি শেয়ার করার ফলে, আপনার পজিটিভ কিছু উপকার না হয়।
বিঃদ্রঃ 'উপকার' বলতে এখানে, ডাক্তারকে শেয়ার করার ফলে, সুচিকিৎসা পাবেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে শেয়ার করলে, মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় পাবেন। পরিবার-পরিজন কিংবা বন্ধুবান্ধব, অথবা গুরুজন, যাদের শেয়ার করলে, উক্ত কাজ হতে পরিত্রানের উপায় পাবেন, তাঁদেরকে শেয়ার করুন।
আমাদের সমাজ-ব্যবস্থা, প্রতিনিয়তই পাল্টাচ্ছে। এক শ্রেণির মানুষের কাছে, বন্ধু'র সংজ্ঞাটা হল- অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে একে-অন্যকে সম্বোধন করতে হবে, বিপরীত লিঙ্গের কাউক নিয়ে সে**য়াল কমেন্ট করতে হবে, আর কৃত সব অপকর্ম গুলো একে-অপরকে শেয়ার করতে হবে।
কবি নজরুলের ভাষায়,
"এ পাপ-মুলুকে পাপ করেনি করেনি ক’কে আছে পুরুষ-নারী?
-তাহলে, একটা প্রশ্ন উঠে আসে এখানে, কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, 'তুমি কি এই ** পাপ কাজটি করেছ?' যেটি তুমিই জান যে, তুমি নিজে উক্ত পাপের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছ, তাহলে, কি উত্তর দিবে?
> প্রথমত, আপনাকে মনে রাখতে হবে, অন্যের খারাপ কৃতকর্ম গুলো খোঁজা মোটেই ভালো লক্ষ্মণ নই।
দ্বিতীয়ত, উক্ত ব্যাক্তি কোন উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করতেছে, সেটি বুঝার চেষ্টা করুন। যদি উদ্দেশ্যটা, আপনার পজিটিভ মনে হয়, সুযোগ বুঝে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন। অন্যথায়, প্রশ্নটি 'ইগনোর' করার চেষ্টা করুন, না পারলে মিথ্যা বলুন।
-কিন্তু, মিথ্যা বলা যে মহাপাপ! পাপের বোঝা ডাবল হয়ে যাবে না, তো?
> চলুন একটা গল্পের মধ্যে উত্তর খোঁজা চেষ্টা করি।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূনের সৃষ্ট, মিসির আলিকে তো সবাই চিনেন, তাই না?
খুবই যুক্তিবাদী মানুষ।
'মিসির আলি' সিরিজের কোন একটা বইয়ে 'মিথ্যা' নিয়ে পড়েছিলাম, গল্পটা ছিল এরকম (যদিও হুবহু মনে করতে পারতেছি না)-
"ধরুন, আপনি একটা নৌকায় বসে আছেন। এমন সময় একটা কিশোরী, হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এসে আপনার নৌকায় লুকিয়ে রইলেন। এর অল্প কিছুক্ষণ পর, কয়েক জন যুবক(কিশোর গ্যাং টাইপের, এবং আপনার ধারণা, ওদের কু-মতলব রয়েছে), আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করে, এদিকে একটা অল্প বয়স্ক মেয়েকে দেখেছেন কিনা, তখন আপনি কি জবাব দেবেন?
হ্যাঁ দেখেছি বলে, নৌকার মধ্যে দেখায় দিবেন নাকি অন্যকোন পথ অনুসরণ করবেন?
ঠিক এভাবে, এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নেন যে, মিথ্যা বলবেন কিনা পাপ কাজটিতে হ্যাঁ বলবেন।
চলুন, গল্পের ছলে আরও একটা কথোপকথন পড়ে আসা যাক-
মাদ্রাসার এক ফ্রেন্ডের সাথে আমার কথোপকথন:
~ (কথার ছলে, হুট করে জিজ্ঞেস করল), হানিফ, তোমার গার্লফ্রেন্ডের কি অবস্থা?
> (স্বাভাবিক ভাবে), হুমম, ভালো আছে।
~(একটু অবাক হয়ে, আবার জিজ্ঞেস করল), কি বলিছ! ভাবির বাড়ি কোথায়? পড়াশুনা কোথায় করে, নিশ্চয়ই চবিতে? কিভাবে পরিচয় হলো?
>(একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন। আমার মাথায় একটা ট্রিকি আসল। সরাসরি উত্তর না দিয়ে, একটু খেলা করা যাক, এই ভেবে, পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম), আচ্ছা, বলতো, ইসলাম ধর্মে, বিয়ের আগে প্রেম হালাল নাকি হারাম?
~(সাথে সাথে জবাব এলো), হারাম।
> ওকেই। ছোটবেলায় কোথাও যেন শুনেছিলাম, মুনকার-নাকির* ছাড়াও, আখিরাতে নাকি, আমাদের হাত-পা-চোখ অর্থাৎ সম্পূর্ণ শরীর, আমাদের কৃতকর্মের সাক্ষী দিবেন (যেমন: চোখ দিয়ে আমি যা দেখেছি- তা বলবে, পা দিয়ে যেখানে গিয়েছি- তা বলবে, হাত দিয়ে যা করেছি- তা বলবে), এইরকম না?
~(মনোযোগ সহকারে শুনতেছিল, জবাব দিল), হুমম।
>তাহলে দেখ, প্রেম করা হারাম। এখন আমি প্রেম করি কিনা, অথবা যদি হ্যাঁ বলি, এবং আমার প্রেমিকার সাথে সংগঠিত সবকিছুই(কথাবার্তা), যদি তোমাকে বলি, তাহলে, বিষয়টা এমন দাঁড়াই যে, তোমাকেও এ বিষয়ে সাক্ষী রাখা!
অর্থাৎ তুমিও আমার বিরুদ্ধে আল্লাহকে সাক্ষী দিবে!
~(সে চুপ হয়ে, তাকিয়ে রইল!)
যাইহোক, এ কথোপকথন এখানে আর বাড়ানোর কারণ দেখতেছি না।
কথার ছলে, কথা বলা। অর্থাৎ ঠিক সেদিন হতে, বিষয়টি আমার ভাবনায় গেঁথে যায়। এবং ধীরে ধীরে এ বিষয় সম্পর্কে জানার পরিধিও বাড়তে থাকে। আর, সেই সাথে (খুব বেশি প্রয়োজন না হলে), ব্যাক্তির গভীরতা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা কমিয়ে ফেলি।
যেন, কম জানাতেই সুখ আর শান্তি!
কথায় আছে, 'রাত যত গভীর হয়, ভাবের গভীরতাও তত বাড়তে থাকে।'
সময়ের সাথে সাথে এ দীর্ঘ জীবনে- গ্রাম, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনেক মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের সাথে রাত কাটানো(আড্ডা দেওয়া)'র সুযোগ হয়েছে।
> প্রথমত, আপনাকে মনে রাখতে হবে, অন্যের খারাপ কৃতকর্ম গুলো খোঁজা মোটেই ভালো লক্ষ্মণ নই।
দ্বিতীয়ত, উক্ত ব্যাক্তি কোন উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করতেছে, সেটি বুঝার চেষ্টা করুন। যদি উদ্দেশ্যটা, আপনার পজিটিভ মনে হয়, সুযোগ বুঝে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করুন। অন্যথায়, প্রশ্নটি 'ইগনোর' করার চেষ্টা করুন, না পারলে মিথ্যা বলুন।
-কিন্তু, মিথ্যা বলা যে মহাপাপ! পাপের বোঝা ডাবল হয়ে যাবে না, তো?
> চলুন একটা গল্পের মধ্যে উত্তর খোঁজা চেষ্টা করি।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূনের সৃষ্ট, মিসির আলিকে তো সবাই চিনেন, তাই না?
খুবই যুক্তিবাদী মানুষ।
'মিসির আলি' সিরিজের কোন একটা বইয়ে 'মিথ্যা' নিয়ে পড়েছিলাম, গল্পটা ছিল এরকম (যদিও হুবহু মনে করতে পারতেছি না)-
"ধরুন, আপনি একটা নৌকায় বসে আছেন। এমন সময় একটা কিশোরী, হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এসে আপনার নৌকায় লুকিয়ে রইলেন। এর অল্প কিছুক্ষণ পর, কয়েক জন যুবক(কিশোর গ্যাং টাইপের, এবং আপনার ধারণা, ওদের কু-মতলব রয়েছে), আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করে, এদিকে একটা অল্প বয়স্ক মেয়েকে দেখেছেন কিনা, তখন আপনি কি জবাব দেবেন?
হ্যাঁ দেখেছি বলে, নৌকার মধ্যে দেখায় দিবেন নাকি অন্যকোন পথ অনুসরণ করবেন?
ঠিক এভাবে, এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নেন যে, মিথ্যা বলবেন কিনা পাপ কাজটিতে হ্যাঁ বলবেন।
চলুন, গল্পের ছলে আরও একটা কথোপকথন পড়ে আসা যাক-
মাদ্রাসার এক ফ্রেন্ডের সাথে আমার কথোপকথন:
~ (কথার ছলে, হুট করে জিজ্ঞেস করল), হানিফ, তোমার গার্লফ্রেন্ডের কি অবস্থা?
> (স্বাভাবিক ভাবে), হুমম, ভালো আছে।
~(একটু অবাক হয়ে, আবার জিজ্ঞেস করল), কি বলিছ! ভাবির বাড়ি কোথায়? পড়াশুনা কোথায় করে, নিশ্চয়ই চবিতে? কিভাবে পরিচয় হলো?
>(একসাথে অনেকগুলো প্রশ্ন। আমার মাথায় একটা ট্রিকি আসল। সরাসরি উত্তর না দিয়ে, একটু খেলা করা যাক, এই ভেবে, পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলাম), আচ্ছা, বলতো, ইসলাম ধর্মে, বিয়ের আগে প্রেম হালাল নাকি হারাম?
~(সাথে সাথে জবাব এলো), হারাম।
> ওকেই। ছোটবেলায় কোথাও যেন শুনেছিলাম, মুনকার-নাকির* ছাড়াও, আখিরাতে নাকি, আমাদের হাত-পা-চোখ অর্থাৎ সম্পূর্ণ শরীর, আমাদের কৃতকর্মের সাক্ষী দিবেন (যেমন: চোখ দিয়ে আমি যা দেখেছি- তা বলবে, পা দিয়ে যেখানে গিয়েছি- তা বলবে, হাত দিয়ে যা করেছি- তা বলবে), এইরকম না?
~(মনোযোগ সহকারে শুনতেছিল, জবাব দিল), হুমম।
>তাহলে দেখ, প্রেম করা হারাম। এখন আমি প্রেম করি কিনা, অথবা যদি হ্যাঁ বলি, এবং আমার প্রেমিকার সাথে সংগঠিত সবকিছুই(কথাবার্তা), যদি তোমাকে বলি, তাহলে, বিষয়টা এমন দাঁড়াই যে, তোমাকেও এ বিষয়ে সাক্ষী রাখা!
অর্থাৎ তুমিও আমার বিরুদ্ধে আল্লাহকে সাক্ষী দিবে!
~(সে চুপ হয়ে, তাকিয়ে রইল!)
যাইহোক, এ কথোপকথন এখানে আর বাড়ানোর কারণ দেখতেছি না।
কথার ছলে, কথা বলা। অর্থাৎ ঠিক সেদিন হতে, বিষয়টি আমার ভাবনায় গেঁথে যায়। এবং ধীরে ধীরে এ বিষয় সম্পর্কে জানার পরিধিও বাড়তে থাকে। আর, সেই সাথে (খুব বেশি প্রয়োজন না হলে), ব্যাক্তির গভীরতা সম্পর্কে জানার আগ্রহটা কমিয়ে ফেলি।
যেন, কম জানাতেই সুখ আর শান্তি!
কথায় আছে, 'রাত যত গভীর হয়, ভাবের গভীরতাও তত বাড়তে থাকে।'
সময়ের সাথে সাথে এ দীর্ঘ জীবনে- গ্রাম, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনেক মিউচুয়াল ফ্রেন্ডের সাথে রাত কাটানো(আড্ডা দেওয়া)'র সুযোগ হয়েছে।
এবং আমি বেশ খেয়াল করেছি, রাতের নির্জনতা যত বাড়তে থাকে, ততই তাদের ভাব গভীর হতে গভীরে চলে যেতে থাকে, এবং একের পর এক কৃত কর্ম আর কু-কর্ম, এফএম রেডিও'র মতো বলতে থাকে!
আরও একটা লক্ষণীয় বিষয় হল, একবার বলা শুরু করলে, টপিক্স এড়িয়ে যাওয়াটা খুব দুষ্কর হয়ে উঠে।
ফলাফল স্বরুপ, এখন আমি তাদেরকে ব্যাক্তিজীবনে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। সোশাল মিডিয়াতেও আন-ফলো কিংবা আন-ফ্রেন্ড করে দিই।তাদের সম্পর্কে আমার যে সু-ধারণা/বিশ্বাস ছিল, সেটা পরক্ষণেই উঠে যায়, বরঞ্চ এটি ঘৃণায় রুপ নেয়।
আমি আমার অতি আপনজন এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে মন থেকে হারিয়েছি, শুধুমাত্র তাদের কৃত অপকর্মের বিষয় নিয়ে 'আপন স্বীকারোক্তির' জন্য।
বিঃদ্রঃ আমাকে শেয়ার করার পেছনে, ওদের কোন পজিটিভ উদ্দেশ্য আমি খোঁজে পায়নি, কিন্তু যা বুঝতে পারছিলাম, তা হলো, ওরা এসব বলতে আনন্দ পেয়েছিল, তাছাড়া, ঠোঁটের কোণে ঈষৎ গর্ববোধও ছিল।
হয়তো ওরা বন্ধু/সমবয়সী ভেবেই বলেছিল!!
পুনশ্চঃ অবশ্যই কেউ যদি মনে করেন যে, উক্ত বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করার ফলে, আপনার কোনো উপকারে আসতে পারব, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে ওয়েলকাম।
(আমি অবশ্যই এখানে, কোন 'আইনের'কথা বলতেছি না। সাধারণ সামাজিক জীবনের কথা বলতেছি।)
আপনি বরং অনুশোচনা করুন। পরবর্তীতে যাতে, পুনঃবার না হয়, সেইজন্য শপথ গ্রহণ করুন।
কথায় আছে,
"ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।"
আরও একটা লক্ষণীয় বিষয় হল, একবার বলা শুরু করলে, টপিক্স এড়িয়ে যাওয়াটা খুব দুষ্কর হয়ে উঠে।
ফলাফল স্বরুপ, এখন আমি তাদেরকে ব্যাক্তিজীবনে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। সোশাল মিডিয়াতেও আন-ফলো কিংবা আন-ফ্রেন্ড করে দিই।তাদের সম্পর্কে আমার যে সু-ধারণা/বিশ্বাস ছিল, সেটা পরক্ষণেই উঠে যায়, বরঞ্চ এটি ঘৃণায় রুপ নেয়।
আমি আমার অতি আপনজন এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে মন থেকে হারিয়েছি, শুধুমাত্র তাদের কৃত অপকর্মের বিষয় নিয়ে 'আপন স্বীকারোক্তির' জন্য।
বিঃদ্রঃ আমাকে শেয়ার করার পেছনে, ওদের কোন পজিটিভ উদ্দেশ্য আমি খোঁজে পায়নি, কিন্তু যা বুঝতে পারছিলাম, তা হলো, ওরা এসব বলতে আনন্দ পেয়েছিল, তাছাড়া, ঠোঁটের কোণে ঈষৎ গর্ববোধও ছিল।
হয়তো ওরা বন্ধু/সমবয়সী ভেবেই বলেছিল!!
পুনশ্চঃ অবশ্যই কেউ যদি মনে করেন যে, উক্ত বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করার ফলে, আপনার কোনো উপকারে আসতে পারব, তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে ওয়েলকাম।
(আমি অবশ্যই এখানে, কোন 'আইনের'কথা বলতেছি না। সাধারণ সামাজিক জীবনের কথা বলতেছি।)
আপনি বরং অনুশোচনা করুন। পরবর্তীতে যাতে, পুনঃবার না হয়, সেইজন্য শপথ গ্রহণ করুন।
কথায় আছে,
"ন্যাড়া বেলতলায় একবারই যায়।"
আপনি আপনার (যে ধর্মালম্বীর হোন) খোদার কাছেই চোখ বুঝে প্রার্থনা করুন, সে নিশ্চয়ই আপনাকে ফিরিয়ে দিবেন না।
আল্লাহ কুরআনে বলেন, "আমি তওবাকরীদের ভালোবাসি।"
[আয়াত-2:222]
পছন্দের গানের কিছু লিরিক্স:
শুনেও দেখতে পারেন -
শুনেও দেখতে পারেন -
"My Lord, show me right from wrong
Give me light, make me strong
I know the road is long
Make me strong.
.............
Sometimes it just gets too much
I feel that I've lost touch
I know the road is long
Make me strong..."
Insha Allah-Maher Zain.
"Every time you commit one more mistake
You feel you can’t repent
And that it's way too late
You're so confused,
wrong decisions you have made
Haunt your mind and your heart
is full of shame
But don't despair and never lose hope
Cause Allah is always by your side
............
Turn to Allah
He’s never far away
Put your trust in Him
Raise your hands and pray
OOO Ya Allah.."
Give me light, make me strong
I know the road is long
Make me strong.
.............
Sometimes it just gets too much
I feel that I've lost touch
I know the road is long
Make me strong..."
Insha Allah-Maher Zain.
"Every time you commit one more mistake
You feel you can’t repent
And that it's way too late
You're so confused,
wrong decisions you have made
Haunt your mind and your heart
is full of shame
But don't despair and never lose hope
Cause Allah is always by your side
............
Turn to Allah
He’s never far away
Put your trust in Him
Raise your hands and pray
OOO Ya Allah.."

0 Comments