রুপালী দ্বীপ

রুপালী দ্বীপ
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ 4.5/5

হুমায়ূন আহমেদ' এ মানুষটা, পাঠকের মনকে কেমনে এভাবে আকৃষ্ট করতে পারে! আমি বিশ্বাস করি এবং অতি-বিশ্বাস করি যে, বাংলা সাহিত্যের প্রতিটা পাঠকই একবার না একবার এই মানুষটার কথার(লেখনীর) প্রেমে পড়েছে। আমি বারবার তাঁর লেখার গুণাবলি দেখে অবাক হয়। যখন যে বইটি পড়ি তখন সে চরিত্রের সাথে মিশে যায়। যেমন: 'হিমু','মিসির আলী','শুভ্র' একেকটা একেকে ধরনের চরিত্র, এবং ভিন্ন ভিন্ন বয়সের। কিন্তু, এ মানুষটা যে কেমনে সকল চরিত্রের বৈশিষ্ট্য গুলো তাদের মতো করেই ফুটিয়ে তুলতে পারে !
এইতো ২০২১ সাল শেষ হতে যাচ্ছে, এ পর্যন্ত অনেকগুলো ফিকশনাল গল্প-উপন্যাস পড়া হয়েছে। ধরে নিয়েছিলাম, সেল্ফে যে গুলো আছে সেগুলো ছাড়া আর কোন ফিকশনাল বই পড়ব না। কিন্তু, মন খারাপ করে যখন রিডার্স ব্লক চলে, তখন স্বাভাবিক আসতে হয় এ হুমায়ূন আহমেদকে পড়ে।


যাইহোক, অনেকদিন পরেই 'রুপালী দ্বীপ' বইটি পড়েই ভালোই লাগল।
বইটি 'শুভ্র' সিরিজের ৩য় এবং 'দারুচিনি দ্বীপ' সিরিজের ২য় বই।
আমার পড়া শুভ্র সিরিজের প্রথম বই। বইটিতে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে চিটাগং-কক্সবাজার-টেকনাফ পাড়ি দিয়ে গল্পের দারুচিনি দ্বীপের উদ্দেশ্যে ঢাকা হতে ট্রেনে রওনা দেওয়ার সময় কোন কারণ ছাড়াই মুনা অয়বের পিছু পিছু ট্রেনে উঠে পড়ে। জরী নামের এক মেয়েও বিয়ের আসর হতে পালিয়ে এসে তাদের সাথে যোগ দেয়। পরে, চট্টগ্রাম পৌঁছালে পুলিশ তাদের সবাইকে এরেস্ট করে জেল বন্দী করে। এখানে, শুভ্র এর বাবা ছেলের ঢ়াতে কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য একজন মানুষ তাদের পিছনে পিছনে পাঠান।
পরবর্তীতে তারা টেকনাফ পৌঁছালে, নাফ নদীর সৌন্দর্য এবং জোৎস্নার রাতে তাদের আনন্দ-রাগ-অভিমান ইত্যাদির এক পর্যায়ে যখন অয়ন(বল্টু) চলে আসতে চাইছিল, তখন মুনার অব্যাক্ত রোমাঞ্চকর কথা সবগুলোই দেয়ালে সাজিয়ে রাখার মতো।
বাবার জন্মদিন উপলক্ষে উপহার দেওয়া বইয়ের নোট..
"বাবা
জন্মদিনের শুভেচ্ছা,
আমার খুব ইচ্ছে হয়, আমি তোমার মতো হয়।
শুভ্র"

তাছাড়া, বইটিতে হাসির ছলে চরম কিছু সত্যের কথা বলা হয়েছে, যা মানবের ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো কিছু প্রভাবিত করবে।
পড়ে দেখুন...
Reactions

Post a Comment

0 Comments