ছোটকাল হতেই 'হিটলার বনাম ইহুদী‘ কথাটি শুনেই আসছি। পড়ব পড়ব বলে পড়া হয়নি।
কয়েকদিন আগে পড়েছিলাম 'The Diary of Anne Frank' বইটি। যেখানে, অ্যানি ফ্রাঙ্কের পরিবার সহ আরো কয়েকটি পরিবার তার বাবার অফিসের লুকায়িত এক বাসায় প্রায় চার বছর অবস্থান করেছিল। ডাইরিটিতে অ্যানি ফ্রাঙ্ক তার দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া হাসি-দুঃখ-প্রেম-ঝগড়া সব লিখে রেখেছিল। মূল বিষয় হিটলার যে ইহুদিদের প্রতি যে নৃশংস গণহত্যা এবং অত্যাচার চালিয়ে ছিল তা ১২ বছর বয়সী অ্যানি ফ্রাঙ্কের ডায়েরিটিতে ফুটিয়ে উঠিয়েছিল। যখন পড়িতেছিলাম তখন হিটলারের প্রতি যে কতটা ঘৃণা এসেছিল, তা লিখে বুঝানো এই ছোট্ট পাঠকের অসাধ্য। অ্যানি ফ্রাঙ্কের ডাইরিটা পড়ার পর পরই শুরু করলাম হিটলারের নিজের জীবনী নিয়ে লেখা 'মাইন ক্যাম্ফ' বাংলা অনুবাদ। যতই গভীরে গিয়েছি হিটলারের জ্ঞানের গভীরতা আর দুরদর্শী তা দেখে ততই মুদ্ধ হয়েছি।
হিটলার ছোটকাল হতেই রগচটা ছিল। নিজের কাছে যেটা ভাল মনে হতো সেটাকেই প্রধান্য দিত। বাবা ছিলেন সরকারি অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী, যার পক্ষে তিনটা স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ করা কষ্ট হয়ে উঠে। তাই ছোটকালেই জীবন নির্বাহের উদ্দেশ্যে ভিয়েনা পাড়ি জমান। সেখান হতে সে উপলব্ধি করতে পারে তার পিতৃভূমি জার্মানি অস্তিত্বহীনতায় পড়ে গেছে। ইহুদি, যাদের নিজস্ব কোন সভ্যতা নেই, তারা ব্যাবসায়িক এবং অন্যান্য সুত্রে জার্মানিতে এসে, তাদের প্রতি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাব কাটাতে শুরু করে। যা হিটলারের মনে তীরে বিধ্বস্ত হওয়ার মতো আঘাত করেছিলো। সেই ছোটকাল হতেই ইহুদি বিদ্বেষী হয়ে উঠে। 'মাইন ক্যাম্ফ' বইটিতে ইহুদিদের কর্মকান্ড গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

হিটলার ছোটকাল হতেই রগচটা ছিল। নিজের কাছে যেটা ভাল মনে হতো সেটাকেই প্রধান্য দিত। বাবা ছিলেন সরকারি অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী, যার পক্ষে তিনটা স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ করা কষ্ট হয়ে উঠে। তাই ছোটকালেই জীবন নির্বাহের উদ্দেশ্যে ভিয়েনা পাড়ি জমান। সেখান হতে সে উপলব্ধি করতে পারে তার পিতৃভূমি জার্মানি অস্তিত্বহীনতায় পড়ে গেছে। ইহুদি, যাদের নিজস্ব কোন সভ্যতা নেই, তারা ব্যাবসায়িক এবং অন্যান্য সুত্রে জার্মানিতে এসে, তাদের প্রতি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে প্রভাব কাটাতে শুরু করে। যা হিটলারের মনে তীরে বিধ্বস্ত হওয়ার মতো আঘাত করেছিলো। সেই ছোটকাল হতেই ইহুদি বিদ্বেষী হয়ে উঠে। 'মাইন ক্যাম্ফ' বইটিতে ইহুদিদের কর্মকান্ড গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

হিটলার ১৯১৪ সালে জার্মানির হয়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করে এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন অবস্থা ফুটিয়ে তুলেন। যুদ্ধ পরবর্তীতে লেবার পার্টির সদস্য হিসেবে যোগদান করার পর পরই ঐ পার্টির প্রধান হয়ে নাম পরবর্তন করেন, যেটি বর্তমানে নাৎসী বাহিনী নামে পরিচিত। এ বইটিতে ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগ পর্যন্ত বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বইটিতে মূলত জার্মানির অস্তিত্ব রক্ষা, ইহুদি বিদ্বেষ আর হিটলারের বিশ্ব জয়ের চিন্তা-ভাবনার দিকটি ফুঠে উঠেছে।
হিটলারের রগচটা মনোভাব ছোটকাল হতে জীবনের শেষ মুহুর্ত অব্দি ছিল। শেষ মুহুর্তে এসেও আত্মসমর্পণ না করে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। ভাবা যায়...!
বইটিতে মূলত জার্মানির অস্তিত্ব রক্ষা, ইহুদি বিদ্বেষ আর হিটলারের বিশ্ব জয়ের চিন্তা-ভাবনার দিকটি ফুঠে উঠেছে।
হিটলারের রগচটা মনোভাব ছোটকাল হতে জীবনের শেষ মুহুর্ত অব্দি ছিল। শেষ মুহুর্তে এসেও আত্মসমর্পণ না করে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন। ভাবা যায়...!
"আমি এমন অনেককে জানি যারা বইয়ের পর বই, পাতার পর পাতা পড়ে চলে, তবুও আমি তাদের পাঠক বলি না। হয়তো বা তারা অনেক পড়েছে। কিন্তু তাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা কোথায়, যা তারা পড়ছে বা পড়েছে? এমনকি তাদের কোন বইটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা অপ্রয়োজনীয় সেটুকু তফাৎ করার মতোও ক্ষমতা নেই। সুতরাং তাদের অবস্থা আগের টা পড়ে তো পরেরটা ভুলে; তারপর আবার সেটা পড়ে। আর নইলে সমস্ত ব্যাপারটাই অপ্রয়োজনীয় মাল বোঝাই জাহাজের মত ভারী করে। পড়াশোনা ব্যাপারটা শেষের জন্য নয়; বরং শেষের দিকে পা বাড়াবার প্রথম প্রদক্ষেপ মাত্র।একটা মূল উদ্দেশ্যই হলো প্রত্যেকের ভেতরে যে সুপ্ত প্রতিভা বা বিশ্বাস ঘুমিয়ে আছে তাকে জাগিয়ে তোলা।"
সতর্কীকরণঃ মানবহত্যা অবশ্যই মহাপাপ।
সতর্কীকরণঃ মানবহত্যা অবশ্যই মহাপাপ।
0 Comments