লেখকঃ হুমায়ুন আহমেদ
হিমু সিরিজের প্রথম গল্প।
গল্পের শুরু⇨
টুটুল নামক এক ছেলেকে বিনা কারণেই পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার মাধ্যমেই।
পরবর্তীতে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়, ঐ টুটুল নামটিই হল হিমু এর ডাকনাম। হিমু এর আসলেই নামটিই হল হিমালয় (রহস্য জানতে পড়ে দেখুন)।
হিমুর কোন কিছুরই চিন্তা নেই। যখন যা ইচ্ছে তাই করে। হঠাৎ জঙ্গলে গিয়ে চাঁদ দেখা, কিংবা রুপাকে হুট করে নীল শাড়ি পড়ে (যেকোন সময়) বারান্দায় কিংবা ছাঁদে আসতে বলা। এক ঠেলাগাড়ি চালক হিমুকে এক্সিডেন্ট হতে বাঁচিয়েছে বলেই চড় দেওয়া। রুপার বাবাকে হঠাৎ কল করে 'রেল বুকিং' কিনা জিজ্ঞেস করে রাগিয়ে দেওয়া। মীরা নামক একটি মেয়েকে কল করে হুট কর মোবাইল কেটে দেওয়া আর অপ্রয়োজনে মিথ্যে কথা বলে নিজেকে আনন্দ দেওয়া ইত্যাদি অদ্ভুত কান্ড করে থাকে।
বাদল নামক এক ফুফাতো ভাই অন্ধ ভক্ত হিমুর।
রিনকির সাথে বিবাহ ঠিক হওয়া ব্যাক্তির...
হিমুর বাবা নতুন গাড়ি নিয়ে এসে হঠাৎ ভেঙে ফেলে ছেলেকে মায়া ভুলিয়ে মহাপুরুষ করার ভাবনা। গল্পের শিরোনাম ময়ূরাক্ষী নদী হিমু যেকোন মুহুর্তে চোখে ভাসিয়ে তুলতে পারা এবং সেই নদীর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটানো এবং সেই নদীর তীরে হাঁটা। নদীর হিম শীতল পানিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকা,হিমুর আন্দাজ করে বলা ভবিষ্যত প্রায় মিলে যাওয়া আর রুপার সাথে প্রথম পরিচয় ইত্যাদি একজন পাঠককে অবশ্যই হিমু হওয়ার স্বপ্ন দেখতে বাধ্য করবেই।
⇨হাসিতে মানুষকে খুব সহজেই চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে।
⇨ভালোবাসার মানুষের খুব কাছে কখনো যেতে নেই।।

0 Comments