ধরণঃ ব্যাঙ্গার্থক উপন্যাস
লেখকঃ আহমদ ছপা
১ম প্রকাশঃ ১৯৯৫
এ নিয়ে আহমদ ছফা স্যারের চতুর্থ তম বই গলাধঃকরণ করলাম।
লেখকঃ আহমদ ছপা
১ম প্রকাশঃ ১৯৯৫
এ নিয়ে আহমদ ছফা স্যারের চতুর্থ তম বই গলাধঃকরণ করলাম।
তাঁর বইয়ে প্রতিবারের মত সমাজ রাষ্ট্র ইত্যাদি কোন বিষয় অবশ্যই থাকবেই।
গাভী বিত্তান্ত হল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্থরীণ বিষয়াবলি এবং রাজনীতি নিয়ে।
উপন্যাসের মূল চরিত্র আবু জুনায়েদ ভাগ্যক্রমে উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার সর্বস্তরের লোক বিস্মিত হয়ে পড়ে। যার নেই কোন ভাল মানুষের সাথে পরিচয়! নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত! যায়হোক, উপাচার্য যেহেতু হয়ে গেছেই, তাই এক একজন নিজেদের মত করে কৃতিত্ব নিতে চাচ্ছিল।
এরই মধ্যে আবু জুনায়েদের স্ত্রী নুরুন্নাহার বানু রীতিমতো পাড়াপড়শিকে তাঁর জন্যই আবু জুনায়েদের এমন পদে আসীন হওয়া(এমন ভেবেে নেওয়া), তাঁর বাবার খরচেই জুনায়েদ লেখাপড়া করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলতেই থাকত। উপাচার্যের স্ত্রী হিসেবে একটু ক্ষমতাতো দেখাতে হবে। তাই বাড়ির দারোয়ান,চাকর,মালিদের সাথে উচ্চস্বরে এবং তুমি করে কথা বলতো। তার স্বামী মেয়ে সবাইকে তার কথায় উঠতে-বসতে হতো।
অন্যদিকে আবু জুনায়েদেরও বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে শুরু করল। যেমন ভালো পোশাক, কারো সাথে কথা বলা কিংবা কোন কিছু করার আগে একটু শালীনতা বজায় রাখা ইত্যাদি।
এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঠিকাদারের (পরে জানতে পারে স্ত্রীর চাচা) বাড়িতে দাওয়াত পাওয়ার পর, ওখানে যাবে কিনা সংকোচ (কারণ ঠিকাদারের বাড়িতে উপাচার্য!)। পরবর্তী তে যাওয়ার পর ঠিকাদারের সাথে সখ্য গড়ে উঠে উপাচার্যের এবং তার একটা গাভী পালনের ইচ্ছে পেশ করলে, পরবর্তীদিনে গোয়াল ঘর সহ গাভীর ব্যাবস্থা করে দেন।
গাভীকে নিয়ে অনেক অনেক ভাল মন্তব্য করতে লাগল। কিন্তু বিপরীত দলের অনেকেই এটা নিয়ে কুৎসারটনা করলে, এর বিপরীতে আবু জুনায়েদকে নিয়ে আরকেটা ভালো মন্তব্য লিখে ছাপানো হল। আবু জুনায়েদ গাভীর প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট হওয়া, মেয়ের, মালী,চকারদের অবাধ্যতা ইত্যাদি নুরুন্নাহার বানুকে খুবই জ্বালাতো। এরপর হঠাৎ একদিন দেখে গাভীটি বিষ খেয়ে....।
লক্ষণীয় বিষয় ঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্টানে রাজনীতির প্রভাব, ক্ষমতার প্রভাব ইত্যাদি।
বইটি পড়ুন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে
গাভী বিত্তান্ত হল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্থরীণ বিষয়াবলি এবং রাজনীতি নিয়ে।
উপন্যাসের মূল চরিত্র আবু জুনায়েদ ভাগ্যক্রমে উপাচার্য পদে আসীন হওয়ার সর্বস্তরের লোক বিস্মিত হয়ে পড়ে। যার নেই কোন ভাল মানুষের সাথে পরিচয়! নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত! যায়হোক, উপাচার্য যেহেতু হয়ে গেছেই, তাই এক একজন নিজেদের মত করে কৃতিত্ব নিতে চাচ্ছিল।
এরই মধ্যে আবু জুনায়েদের স্ত্রী নুরুন্নাহার বানু রীতিমতো পাড়াপড়শিকে তাঁর জন্যই আবু জুনায়েদের এমন পদে আসীন হওয়া(এমন ভেবেে নেওয়া), তাঁর বাবার খরচেই জুনায়েদ লেখাপড়া করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলতেই থাকত। উপাচার্যের স্ত্রী হিসেবে একটু ক্ষমতাতো দেখাতে হবে। তাই বাড়ির দারোয়ান,চাকর,মালিদের সাথে উচ্চস্বরে এবং তুমি করে কথা বলতো। তার স্বামী মেয়ে সবাইকে তার কথায় উঠতে-বসতে হতো।
অন্যদিকে আবু জুনায়েদেরও বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে শুরু করল। যেমন ভালো পোশাক, কারো সাথে কথা বলা কিংবা কোন কিছু করার আগে একটু শালীনতা বজায় রাখা ইত্যাদি।
এরইমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঠিকাদারের (পরে জানতে পারে স্ত্রীর চাচা) বাড়িতে দাওয়াত পাওয়ার পর, ওখানে যাবে কিনা সংকোচ (কারণ ঠিকাদারের বাড়িতে উপাচার্য!)। পরবর্তী তে যাওয়ার পর ঠিকাদারের সাথে সখ্য গড়ে উঠে উপাচার্যের এবং তার একটা গাভী পালনের ইচ্ছে পেশ করলে, পরবর্তীদিনে গোয়াল ঘর সহ গাভীর ব্যাবস্থা করে দেন।
গাভীকে নিয়ে অনেক অনেক ভাল মন্তব্য করতে লাগল। কিন্তু বিপরীত দলের অনেকেই এটা নিয়ে কুৎসারটনা করলে, এর বিপরীতে আবু জুনায়েদকে নিয়ে আরকেটা ভালো মন্তব্য লিখে ছাপানো হল। আবু জুনায়েদ গাভীর প্রতি খুব বেশি আকৃষ্ট হওয়া, মেয়ের, মালী,চকারদের অবাধ্যতা ইত্যাদি নুরুন্নাহার বানুকে খুবই জ্বালাতো। এরপর হঠাৎ একদিন দেখে গাভীটি বিষ খেয়ে....।
লক্ষণীয় বিষয় ঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্টানে রাজনীতির প্রভাব, ক্ষমতার প্রভাব ইত্যাদি।
বইটি পড়ুন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো খুব ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে

0 Comments