ইন্ট্রুভার্ট টাইপের ছেলের মনেও প্রেম




রিচয় টা বেশি দিনের না,
মনে হচ্ছিল কয়েকদিনের।
কিন্তু ক্যালেন্ডার দিকেই চোখ পড়তেই শিউর হল, চলতি বছরের শুরুর দিকেই।

ইন্ট্রুভার্ট টাইপের ছেলে গুলোর মেসেঞ্জার হতে কিছুক্ষণ পর পর ঠিরিং ঠিরিং আওয়াজটা তেমন শুনতে পাওয়া যায় না। কতগুলো হইতো মেসেঞ্জার গ্রুফে জয়েন থাকতে পারে, সেগুলোও বেশিরভাগ সময়ই নোটিফিকেশন অফ থাকে। এরকম ইন্ট্রুভার্ট টাইপের ছেলেগুলোর অধিকাংশই ফেসবুকে অ্যাক্টিভ স্টাটাস অফ থাকে। তাই, প্রায়ই অনলাইনে এক্টিভ থাকে না ভেবে মেসেজ দেয় না কেউ। কারণে অকারণে অল্প পরিচিতিদের সাথে আড্ডা দিতে একটু কম পছন্দ করে। অহেতুক আড্ডা দেয়ার উদ্দেশ্যে কোন পরিচিত জন মেসেজ দিলেও মনে মনে খুব বেশি বিরক্তি সুচক ভাব প্রকাশ করে। সুযোগ ফেলে, ঠাট্টার চলে বলেই বসে, প্রয়োজন ছাড়া মেসেজ দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সাথে সাথে কিছু নীতি বাক্য বলে দিতেও দ্বিধাবোধ করেন না।
পিয়ালও তাদের মধ্যে একজন।

একজন কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের গার্লফ্রন্ড থাকবে, সেটা অস্বাভাবিক নই। হয়তো গভীরভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে গেলে পিয়ালের মত কয়েকজন ইন্ট্রুভার্ট পাওয়া যাবে, তাদের হয়তো গার্লফ্রেন্ড থাকে না, কিন্তু মনে প্রচুর প্রেম থাকে। সাথে অনেকগুলো ক্রাশও থাকে।

যাইহোক, বলতেছিলাম পিয়ালের কথা। গ্রাম হতে হঠাৎ স্বপ্নের ঠানে শহুরে পথে পা বাড়ায় কয়েকবছর আগে। কলেজ জীবনের মধ্য দিয়েই শহুরে জীবন শুরু। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পিয়াল, মা বাবার একমাত্র ছেলে, একটা ছোট বোন ও আছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের হলেও বাবা কখনো বুঝতে দেয় নাই পিয়ালকে যে, সে একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সেটা। যেখানে যতটুকু পরিমাণ টাকা দিলে পিয়ালের কোন সমস্যা হতো না, সেখানে মা তার জন্য এরচেয়ে বেশি পাঠাতো।
ভারতচন্দ্র রায়ের একটি কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল,
"আমার সন্তান যেন দুধেভাতে থাকে"।
এজন্যই মা বাবার যতই আর্থিক সমস্যা হোক না কেন, পিয়ালের জন্য আলমারির এক কোণে গোছা বেঁধে টাকাটা রেখে দিত, যেন ছেলে বলার সঙ্গে সঙ্গেই টাকাটা দিতে পারে।
যাইহোক,পিয়ালকে বুঝতে না দিলেও সে বুঝার চেষ্টা করতো যে, তার মা বাবা তার জন্য কত কষ্ট করে টাকাটা পাঠাচ্ছে সেটা। তাই, নিয়মিত পড়াশোনা ভালোভাবেই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেছিল। কলেজের প্রথম দিকের কয়েকটা পরীক্ষায় রেজাল্ট ফেল চলে আসছিল, সেটা মা বাবাকে জানান নি, বলেছিল রেজাল্ট ভাল হয়েছে। আর মা-বাবাও তেমন পড়ালেখা করে নি বলে ফাঁকি দিতেও তেমন বেগ পাততে হয় না। পরবর্তীতে যদিও ভাল একটা রেজাল্ট নিয়ে কলেজ শেষ করার পর কোন এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দের ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে।
এরই মধ্যে পিয়ালের জীবনে অনেক কিছু স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেল।

চলুন তাহলে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক..
কলেজের টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার পর ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার আগে কয়েকমাসের জন্য একটা কোচিং ক্লাসে ভর্তি হয়। ওখানে পরীক্ষা ক্লাস নিয়মিত চলতেছে। এরইমধ্যে পিয়ালের মনে বাবুইপাখি আস্তে আস্তে বাসা বুনতে লাগল তার সঙ্গীনিকে ভেবে।
মেয়েটি ছিল হালকা শ্যামলা রঙের, চোখের মধ্যে সবসময়ই যেন জলে ভরপুর থাকে, অধীর চাহনী, সবসময় হিজাব পড়তো, দেখতে শান্ত শিষ্ট মনে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য বলতে বলতে প্রহর শেষ হয়ে যাবে তারপরও শেষ হবে না। পিয়াল মনে মনে ভাবতেছিল এইতো এই মেয়েটার জন্য হয়তে এতদিন কারো প্রেমে পড়ে নাই। মেয়েটাকে সবকিছু নিয়েই মনের মধ্যে একটা স্বপ্নের রাজকুমারী এঁকে ফেলল। সারাক্ষণ তাকে নিয়েই ভাবত। পিয়ালের তেমন ডায়েরি লেখার অভ্যাস ছিল না, হঠাৎ ডায়েরি লেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠলো।
প্রথম দেখার অনুভূতি গুলোই ডায়েরি বন্দী করে রেখে দিচ্ছিল। যতই দিন যাচ্ছে ততই ডায়েরির পৃষ্ঠা শেষ হতে লাগল। আশেপাশের প্রেম বিশেষজ্ঞ অনেক বন্ধুরাও পিয়ালকে নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগল তাঁর ডায়েরি লেখা নিয়ে, যদিও তারা ডায়েরি এর বিষয় বস্তু জানে না। ঐ যে বিশেষজ্ঞ বলে, পিয়ালের আচার ব্যাবহারে ধরেই নিয়েছিল 'পিয়াল অবশ্যই প্রেমে পড়েছে'। পিয়ালের সাথে এ ঠাট্টা গুলোও তার ভাল লাগতো।
এভাবেই চলতে চলতে হঠাৎ মাস ফুরিয়ে এল, কোচিং ক্লাসের ফাইনাল মডেল টেস্টও চলে গেল। অথচ নাম ছাড়া কিছুই কিছুই জানা হল না।
পিয়ালের কিছুই ভাল লাগতেছে না, অস্থির হয়ে পড়ল। কারো সাথে শেয়ারও করতে পারতেছে না। এরকম ভাবতে ভাবতে, কোচিং এর পরিচালককে মেয়েটার কোন এক আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছবিটি মেসেঞ্জারে দিতে অনুরোধ করলে উল্টো পরিচালক হতে একটা বকা শুনার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ে ব্লক দিয়ে দিল পিয়াল। মেয়েটি অসম্ভব রকমের মেধাবী ছিল, কোচিং এর ফাইনাল টেস্টে টপ ৩ হয়েছিল, সেই সুবাদে তাদের ছবি করা হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত পিয়ালের হাতে যে মোবাইলটা ছিল সেটাতে ক্যামেরা ছিল না বিধায় কোন ছবি তুলে রাখতে পারেন নি।
এরপর হতে আরেকটা বারের জন্য হলেও দেখা হয় নি তাদের। পিয়াল প্রতিদিন কিছু না কিছুর মধ্য দিয়েই তাঁকে খোঁজে বেড়াচ্ছিল। মনে মনে হাজারো শপথ করতেছিল, 'যদি ভুলোক্রমে একটা বারের জন্য হলেও ভুল করে দেখা হয়, তাহলে চোখ বন্ধ করে মনের সব কথা বলে দিবে' যেটা হবে সেটা পরে হবে।
এভাবে পিয়ালও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুরু করে দিল, সেই রাজকুমারীর খোঁজে এখনো কারণে অকারণে রাস্তায় বের হয়। ভুলেও যদি কোন মেয়েকে হাঁটা কিংবা চলাচলে মনে হয় সেই মেয়েটা, তখন হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিয়ে মেয়েটাকে একবার দেখে আসে, কিন্তু ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসে প্রতিবার। সাধারণত যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়, তাদের নিয়ে ম্যাগাজিন করা হয়, পিয়াল শহরের সব কোচিং সেন্টারের ম্যাগাজিনে খোঁজল,সেখানেও ব্যার্থ।
এরপর চিন্তা করল ক্রাশ এন্ড কনফেশন নামে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতগুলো ফেসবুক পেজ থাকে সেখানে একটা তার বিবরণ দিয়ে পোস্ট করবে, সাধারণত এরকম চরিত্রের সাথে মিলে গেলে বন্ধু বান্ধবীরা মেনশন দিয়ে থাকে সেটা ভেবে। এমন হাজারো চিন্তা নিয়মিত মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে পিয়ালের।

প্রতিদিনের ন্যায় পিয়াল তার ফেসবুক স্ক্রলিং করতে করতে হঠাৎ একটা ছবি দেখে হার্টবিট বেড়ে গেল।

নিজেকে বিশ্বাসই করতে পারতেছিল না।
দেখল কিছু গ্রুফ মেয়েদের সাথে সেই রাজকুমারীর ছবি এবং তার ফেসবুকে ট্যাগ করা।
সেকেন্ডও দেরী না করে, সেই আই ডি* তে চলে যায়।
সেই রাজকুমারী এখন কেথায় পড়তেছে, বাড়ি কোথায় কোন স্কুলে পড়েছিল ইত্যাদি অনেক ডিটেইলস লেখা ছিল।
ছবিগুলো সাথে সাথেই স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিল পিয়াল। তার প্রোফাইলে আর কোন নিজের ছবি ছিল না, "ফ্রোজেন" নামের এক ইংলিশ এনিমেশন মুভির নায়িকার ছবি ছিল। তার প্রোফাইলে অ্যাড ফ্রেন্ড অপশনটা ছিল না, মেসেজ এবং ফলো অপশন ছিল। ফলো করার পর, অনেক ভয়ে ভয়ে মেসেজও দিয়ে দিল "হাই" বলে। একমিনিট পর পর রিপ্রেশ দিয়ে দিয়ে সারাদিন চলে গেল, কিন্তু সিন করে না।
এর পর হতে ঠানা প্রায়ই দেড়মাসের মতো "হাই" "হ্যালো" ইত্যাদি মেসেজ দিয়েই যাচ্ছে পিয়াল, কিন্তু এখনো সিন করে নাই, ফেসবুকে কোন আপডেট ও নেই প্রায় দেড়বছর ধরে। পিয়াল ছবিগুলো খুব যত্ন সহকারে রেখে দিয়েছিল। এখনো মাঝেমধ্যে খুব বেশি মনে পড়লে একবার দেখে আর স্বপ্নে বিভোর হয়ে ফিরে যায়, সেই কোচিং রুমে। আর সেখানে দুজনেই খুব ভাল বন্ধু হয়ে আড্ডা দিতে দিতেই হারিয়ে যায়।
এভাবেই তো ভালোই চলতেছিল পিয়ালের জীবন। মন খারাপের দিনে সেই রাজকুমারীকে নিয়ে ভেবে ভেবে দিন পার হয়ে যেত। কোন এক টিভি শো-তে একজনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনি প্রেম বলতে কি বুঝেন?
উত্তর দিয়েছিল "কাউকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকেই প্রেম বলে"।
পিয়াল নানান ধরনের বই , নানানরকমের টক-শো হতে " আঙ্গুর ফল ঠক" টাইপের উক্তি গুলো বর্ণচোরার মত চুরি করে লিখে রাখে আর নিজেকে নিজের মত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, সবকিছুই ভালোই চলতেছিল।
এরইমধ্যে হঠাৎ একদিন ঠিরিং করে বেজে উঠল মেসেঞ্জার। মোবাইল হাতে নিতেই দেখে, একটা মেয়ের নামের প্রোফাইল হতে মেসেজ রিকুয়েষ্ট এ 'হাই'!
পিয়ালও স্বাভাবিকভাবেই 'হ্যালো', ইত্যাদি বলতে বলতে ভার্চুয়ালি পরিচয় হয়ে গেল। এভাবে অনেক দিন চলে গেল।
এক আধটু দাম্ভিকতা সবারই স্বাভাবিকভাবে থাকে।

ইন্ট্রুভার্ট হিসেবেই পিয়াল সাধারণতই কারো সাথে ফোনে কথা বললে হয়তো ৫ হতে ৬ মিনিট সর্বোচ্চ, আর মেসেঞ্জারে কেউ মেসেজ দিলে রিপ্লাই দেওয়ার পর এরপর কি জিজ্ঞেস করতে হবে সেটা ভাবতেই যেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া আরও সহজ মনে হতো।
সেই হিসেবে, উক্ত ভার্চুয়াল ব্যাক্তিটির সাথে আড্ডায় মেতে উঠা রীতিমতো অকল্পনীয় ভাবনা। উক্ত ভার্চুয়াল ব্যাক্তিটি মাঝেমধ্যে মেসেজ দিত, তারপর রিপ্লে দেওয়ার পর নতুন তেমন বেশি কিছু জিজ্ঞেস করতো না পিয়াল।
এটা জিজ্ঞেস করলে কি ভাববে? / ওটা জিজ্ঞেস করলে হয়তো কিছু মনে করবে! ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবনা গুলো নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় থাকে।
মেয়েটি খুব বেশি চঞ্চল ছিল, পিয়াল কথা বলতে না চাইলেও মেয়েটার রিপ্লে দিতে দিতে ঘন্টাও চলে গেছে।
ধীরে ধীরে পিয়ালের কেন জানি মনে হচ্ছিল, মেয়েটা থাকে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে!!
পিয়াল বুঝতে পারলেও এসব বিষয় নিয়ে যখন কথা উঠত, তখন অন্যদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টা করতো। পিয়ালকে নানানরকমের রোমাঞ্চকর কথা বলার চেষ্টা করলে পিয়াল বিব্রত বোধ করে। এসব কথা গুলো এড়িয়ে নতুন প্রশ্নে চলে যাচ্ছে!
পিয়ালের মনে হচ্ছিল, সেই ভার্চুয়াল মেয়েটার সাথে মেসেজে কথা না বললে অস্থির একটা ভাব চলে আসতেছে।
পিয়ালও মাঝে মধ্যে এখন মেসেজ করে, হারিয়ে যেতে চাই নতুন কোন জগতে। কথা হতো অনেক্ষণ ধরে।
এখানো পিয়াল সেই ভার্চুয়াল মেয়েটির ছবিখানাও দেখে নাই। মাঝেমধ্যে খুব ইচ্ছেও জাগে ছবি একটা বার খোঁজেই বসি, যার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে কোন বিরক্ত লাগতেছে না, না জানি বাস্তবে কতটুকু রূপবতী হবে। অনেকবার মেসেজে লিখেও ফেলেছিল ছবি খোঁজার জন্য, কিন্তু সেন্ড করা হয় না, কি ভাববে সেটা ভেবে।

কাছে যেতেও লাগে সঞ্চয়
দূরে থাকতেও লাগে ভয়।।

তাঁর কথা গুলোর মাঝেই পিয়াল তাঁকে খোঁজে পেত। পিয়াল ও সেই ভার্চুয়াল মেয়েটার সাথে কারণে অকারণে অহেতুক কথার মাঝেই ঘুরে বেড়াতো, স্বপ্নের রাজ্যে। বারবার পিয়ালের বোধ হচ্ছিল, মেয়েটা থাকে কিছু একটা বলতে চাই, ধরেই নিয়েছিল মেয়েটিও ইন্ট্রুভার্ট। মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিল, সেই রাজকুমারীর মতো একে হারাতে দেওয়া যাবে না। কোন না কোনভাবেই বলেই দিবে মনের কথা গুলো, যদিও এখনো সেই ভার্চুয়াল মেয়েটির ছবি দেখে নাই। ধরেই নিয়েছিল, যার সাথে কথা বলতে কোন বিরক্তিসূচক ভাব আসে নাই, সে সুন্দরী হোক বা না হোক সে অবশ্যই রূপবতী হবে।
এমন সব পরিকল্পনা গুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

এমন সময় হঠাৎ পিয়ালের কোন এক ক্লোজড বন্ধু কল দিল, বলল সে নাকি "বিয়ে করে ফেলছে"!! এবং সেটা বাড়িতে কেউ জানে না, শুধু মাত্র পিয়াল এবং আরেকটা বন্ধু ছাড়া।
পিয়ালের তো মাথায় কাজ করতেছিল না, কি করবে/ কি বলবে!! হতভম্ব হয়ে গেল।
মেয়েটি নাকি বাড়ি হতে পালিয়ে চলে আসছিল, সেজন্য আর কোন উপায় না পেয়ে বিয়ে করে ফেলেছিল।
এর আগেও কয়েকটা এরকম নিউজ পিয়ালের আত্নীয় এবং বন্ধুদের সাথে ঘটেছিলো। পিয়াল এগুলো নিজ চোখেই দেখতে পেরেছে যে, তাঁদের পরিবার গুলোর কি অবস্থা!
এসব চিন্তা গুলো হঠাৎ পিয়ালকে খুব বেশি ভাবিয়ে তুললো।
ভেবেই নিল, সেই মেয়েটিও যদি এরকম কোন কিছু করে বসে পিয়ালের তো কিছু করার থাকবে না।

তারপর আর কিছু না ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, মেয়েটিকে এড়িয়ে চলার। এড়িয়ে চলতেছে এখনো, তারপরও মাঝেমধ্যে পুরনো মেসেজ গুলো রিভিউ দিয়ে আসে। হয়তো কারো প্রোফাইল চেক করলে যদি, উক্ত ব্যাক্তির কাছে মেসেজ যেত, তাহলেই সে বুঝতে পারত।
আর ভুলে থাকার নিয়মিত চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে অল্প কয়েকদিনের এ কথোপকথন গুলো।
এখন বারবার ফিরে যায় সেই স্বপ্নের রাজকুমারীর কাছে। তাঁকে নিয়ে ভেবেই আবার আগের মত দিন গুনছে। খুব ভালোই যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে পুরনো ডায়েরি গুলোতে চোখ বুলিয়ে নেয়।আর এই হলো একটা ইন্ট্রুভার্ট টাইপের ছেলের প্রেম কাহিনী।



তাহাসান ভাইয়ের কয়েকটা গানের লাইন,

ছিলে আমার স্বপ্নে তুমি
আজ কেন বহুদূর ..
অনুভবে ভেসে আসে সেই চেনা প্রিয় সুর।।
কাছে যেতেও লাগে সঞ্চয়
দূরে থাকতেও লাগে ভয়।
এলোমেলো লাগে সবই।

অপূর্ণ রয়ে যায় ভালবাসা
থেকে যায় কিছু কথোপকথন।।


তোমার জন্যই উৎসর্গ করলাম......
Reactions

Post a Comment

0 Comments