বাধঁনহারা এক কিশোরের গল্প

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে যে তার প্রহর গুলো গুণে। হয়তো বা সেই পরিস্হিতি আসার আগে কেউ বুঝতে পারবে না। আচমকা যদি কেউ দরজাটা দেয় খুলে, পেছনে তাকানোর সময় নেই, হারিয়ে যেতে চাইবে শুধুই ওই দূর আকাশের নীলে। উড়তে গিয়েও মাঝেমধ্যে হোঁচট খেয়ে পড়বে, তারপরও থামবে না, উড়তেই থাকবে, কেননা পেছন হতে আবার কেউ যদি আটকিয়ে ফেলে সেই ভয়। হোঁচট খাবে কেননা সে উড়তে ভুলেই গেছে কিভাবে ডানা ঝাপটাতে হয়। আওয়াজ করতে পারবে, কিন্তু স্বদেশীদের সাথে কথা বলতে পারবে না, সেটাও ভুলে গেছে বলে। সবকিছু চেনা চেনা লাগবে, কিন্তু কিভাবে কার সাথে মিশে কথা বলবে সেটাও বুঝতে পারে না। কি, কেন, কি হচ্ছে, কি করতে হবে, কোথায় যাবে, কিভাবে খাবার যোগাড় করবে এসব কিচ্ছুই জানে না, আপাতত এসব জানার ইচ্ছাও নেই, শুধুই মন চাই এই বিশাল আকাশে ডানা দুটো মেলে এদিক ওদিক হারিয়ে যেতে।

স্বাধীনতা! স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!
আসলেই এটা কি? একটা মুক্ত পাখি, যেটি আমাদের ক্ষতির কোন কারণই নই, সেটাকে শুধুই আমাদের সৌন্দর্য নামক এক ব্যাধির নাম দিয়েই বছরের পরয়েই বছরের পর বছর খাঁচায় আটকিয়ে রাখতেছি। আর যখন আমরা কোন মঞ্চ কিংবা জনসমক্ষে যায়, তখন স্বাধীনতা বলে বলে মাইক ফাটিয়ে পেলি। একবারও ভাববার সময় পাই না যে, ঐ নিরীহ পাখিটি কিভাবে খাঁচার ভেতর পরাধীনতায় ভোগতেছে। এইখানেই কি লুকিয়ে রয়েছে স্বাধীনতার মূল রহস্য।
আমরা যদি সেটিকে মুক্ত করেই বা না দিই, কিভাবেই বুঝব তার গুণ বা সৃজনশীলতা।

চলো স্বাধীনত শব্দটির সঠিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করি।
নতুন ভাবে….।
এক উদিয়মান কিশোর, যার কিনা খুবই স্বাধীনতা দরকার, সে আজ কোন এক অচিন পাখির ভেতর, তাঁর পরাধীনতা অর্থাৎ বর্তমান সমাজব্যবস্হাকে খোঁজার চেষ্টা করতেছে।
Reactions

Post a Comment

0 Comments